advertisement
advertisement
advertisement.

কঠোর ব্যবস্থা নিন

নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজই বাকি

২৬ মে ২০২৩ ১২:০০ এএম
আপডেট: ২৫ মে ২০২৩ ১১:৫২ পিএম
advertisement..

আমাদের দেশে সরকারি প্রকল্পগুলোয় মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সরকারি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে অথচ এর মেয়াদ বাড়েনিÑ এমনটি খুব কম ঘটেছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা আগামীকাল। জেট ফুয়েল ডিপো ও পূর্ণাঙ্গ টার্মিনাল ভবন নির্মাণসহ এই মেগাপ্রকল্পের খরচ ধরা হয় ২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। তবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, এই দীর্ঘ সময়ে প্রকল্পের ১০ শতাংশও কাজ করতে পারেনি চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ (বিইউসিজি)। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নকশায় ত্রুটি থাকায় গ্যাঁড়াকলে পড়েছে প্রকল্পটি।

বিমানবন্দরের মূল টার্মিনাল ও কার্গো ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ। দৃশ্যমান হয়নি কোনো ভবনই। কোথাও ভবন নির্মাণ দূরে থাক, ঠিকমতো মাটিভরাটও হয়নি। অথচ প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগেই বেবিচকের কাছ থেকে ‘মবিলাইজেশন অ্যাডভান্স’ বাবদ ২১৩ কোটি টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

advertisement

দেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দায়ে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি হওয়া দূরে থাক, জবাবদিহিরও মুখোমুখি হতে হয় না। অথচ যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তাও জনগণের। বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও ওই ঋণের বোঝা এ দেশের জনগণকেই টানতে হয়। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির ফলে জনগণ শুধু সেবা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে না, তাদের কষ্টার্জিত করের টাকারও অপচয় হচ্ছে।

সব ধরনের সংস্থা-প্রতিষ্ঠানেরই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ও দফায় দফায় ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা একটি স্থায়ী চর্চায় পরিণত হয়েছে জবাবদিহির অভাবে। সবকিছুর আগে এই জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতি করবেÑ এগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা, লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।