advertisement
advertisement
advertisement.

নিজের উদ্যোগে নাচ নিয়ে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে

আরিফুজ্জামান মামুন
২৬ মে ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১১:৩০ এএম
advertisement..

ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ সাবিলা নূর। নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে কাজ করেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে। মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত সিনেমা ‘মুজিব : দ্য মেকিং অব আ নেশন’। এসব নিয়েই কথা হয় সাবিলার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- আরিফুজ্জামান মামুন

কদিন আগেই ‘মারকিউলিস’ নামের একটি সিরিজে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন। এখন থেকে কি ওটিটিতে নিয়মিত দেখা যাবে?

advertisement

এখনই জোর দিয়ে বলতে পারছি না। ওটিটিতে কাজ করতে চাই না, সেটাও নয়। ‘মারকিউলিস’ সিরিজের আগে আশফাক নিপুণের ‘কষ্ট নীল’-এ অভিনয় করেছিলাম। সেটা বছর দেড়েক আগের কথা। পরবর্তীকালে দেশের বাইরে অনেকটা সময় থাকা আর নাটকে ব্যস্ত শিডিউলের কারণে ওটিটির জন্য কোনো কাজ করা হয়ে ওঠেনি। তবে ভালো গল্প, চরিত্র পেলে ওটিটিতে যে কোনো সময় কাজ করব।

এ মাধ্যমের ভবিষ্যৎ কেমন বলে মনে হয়?

বিভিন্ন দেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়। আমাদের দেশে আস্তে আস্তে এ মাধ্যমের চাহিদা বাড়ছে। অভিনয়শিল্পীরা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারেন, নিজেদেরকে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করারও সুযোগ রয়েছে এখানে। সবকিছু মিলিয়ে এ মাধ্যমের ভবিষ্যৎ ভালো বলেই মনে হয় আমার। তবে ভালো ভালো কনটেন্ট বানাতে হবে।

বড়পর্দায় শুরুটাই হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

‘মুজিব : দ্য মেকিং অব আ নেশন’-এ কাজ করতে পারাটা এখন পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন। এত কম বয়সে শ্যাম বেনেগালের মতো নির্মাতার পরিচালনায় কাজ করেছি, ভাবতেই অন্যরকম লাগে। যখন এত বড় মাপের পরিচালক বলেছেন, আমার অভিব্যক্তি ভালো, সুন্দর করে সংলাপ বলি শুনে দারুণ লেগেছে।

সিনেমায় আপনার চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দেবেন?

আমি অভিনয় করেছি ১৪ থেকে ২২ বছরের শেখ রেহানার চরিত্রে। তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তিনি নিজের জীবনের বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন। যা হয়তো ছবিতে পাওয়া যাবে না। কিন্তু তার কাছ থেকে শোনা কথাগুলো আমাকে চরিত্রটি হয়ে উঠতে অনেক সহযোগিতা করেছে।

বড়পর্দায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছা আছে?

আমি সব সময় বলে এসেছি, সিনেমার জন্য আমি এখনো অনেক ছোট। এই মাধ্যমে কাজ করতে হলে আরও অনেক কিছু শিখতে হবে। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের মতো একটি কাজে সুযোগ পেয়েছি, এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। এ ধরনের একটি ছবিতে অভিনয়ের পর পরের ছবি নিয়ে অবশ্যই অন্যরকমভাবে ভাবতে হবে। সেই ধরনের আয়োজন হতে হবে, সামাজিক কমিটমেন্ট থাকতে হবে।

গেল ১৯ মার্চ এআইইউবির ২১তম সমাবর্তনে আপনাকে ‘ড. আনোয়ারুল আবেদিন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করা হয়। সেদিনের মুহূর্তটা কেমন ছিল?

এককথায় অসাধারণ। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আমাকে সম্মাননা স্মারক পরিয়ে দিয়েছিলেন। এ অর্জনে নিজেকে নিয়ে এতটা বেশি গর্ববোধ হয়েছে ভাষায় প্রকাশ করে বোঝাতে পারব না। কারণ আমি জানি, অভিনয়ের পাশাপাশি কতটা কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। কত নির্ঘুম রাত কাটিয়ে অধ্যয়ন করতে হয়েছে।

ইংরেজি নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। এ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?

ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশায় যাওয়ার খুব ইচ্ছা। সে ক্ষেত্রে সাহিত্যের শিক্ষক হতে চাই।

নাচ নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা আছে?

মায়ের ইচ্ছাতেই সাড়ে তিন বছর বয়স থেকে নাচ শিখি। পরে নিজের কাছেই নাচতে ভালো লাগত। ইচ্ছা ছিল টেলিভিশনে নাচব। কিন্তু সেই ধরনের প্রোগ্রাম কম হয়। এজন্য নাচা হয় না। নিজের উদ্যোগে নাচ নিয়ে অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা আছে।

সংসারজীবন কেমন চলছে?

২০১১ সালে কাজ শুরু করার পর আমার মা-বাবা-ভাই-বোন সাপোর্ট করেছেন। বিয়ের পর থেকে আমার বর (নেহাল সুনন্দ তাহের) এবং শ্বশুরবাড়ির সবাই আমাকে অনেক সাপোর্ট করছেন। নেহাল সব সময় আমার ভালো চায়। তাকে নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তবে তার একটাই অভিযোগ, সময় কম দিই।