advertisement
advertisement
advertisement.

আরও ৫ দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি

আমাদের সময় ডেস্ক
২৬ মে ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২৩ ১২:০৫ এএম
advertisement..

যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীজুড়ে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে ভিসা সীমিতকরণ নীতি নামে একটি নতুন নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে। সর্বশেষ বাংলাদেশকে এ নীতির আওতায় আনা হয়েছে। গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইটে বাংলাদেশকে এ নীতির আওতায় আনার ঘোষণা দেন। তবে বাংলাদেশই প্রথম নয়, এর আগে নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বেলারুশ, নিকারাগুয়া ও সোমালিয়াও এ ধরনের নীতির আওতায় এসেছে। তানটিভি, ইন্টারনেট।

advertisement

অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশটির গণতন্ত্র ক্ষুণœকারী কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা সীমিতকরণ নীতি আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নতুন ভিসা সীমিতকরণ পলিসি কার্যকরের বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো উপায়ে নির্বাচনী ব্যবস্থা ও রীতিনীতির ক্ষতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর বার্তা পাঠায়। গত ২৫ জানুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এর কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করায় বেশকিছু ব্যক্তির ওপর ওই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা নাইজেরিয়া ও সারা বিশে^ গণতন্ত্রকে সমর্থন ও এগিয়ে নিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি আরও জানান, যারা গণতন্ত্রকে দুর্বল করার সঙ্গে জড়িত; তারা ভিসা সীমিতকরণ নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। আবার যারা ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না।

তবে সেখানে দেশটির সাধারণ জনগণ ও সরকারকে টার্গেট করা হয়নি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করতে নাইজেরিয়ার আকাক্সক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের মাধ্যমে প্রকাশ হয়। বোলা তিনুবা ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তবে বিরোধীরা এ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ আনেন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ, সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো ও দমন-পীড়নের অভিযোগ করেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাইজেরিয়ায় গণতন্ত্রকে পদদলিত ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ঘটনায় বেশকিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। ওই আইনে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না।

এদিকে ২০২১ সালে উগান্ডার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন। ওই বছরের জানুয়ারিতে পূর্ব আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ওই নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়ার’ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

২০২০ সালে বেলারুশের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ওই বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কারচুপি ও নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভে দমন-নিপীড়নের অভিযোগ এনে ৮ বেলারুশিয়ানের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

এর পরের বছরই মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি এবং এতে সহায়তা করার অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযোগে নিকারাগুয়ার বিচারক, সরকারি কৌঁসুলি, সংসদ সদস্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে, ২০২২ সালে পূর্ব আফ্রিকার আরেক দেশ সোমালিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন দেশটির সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিবিদদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাদের পরিবারের নিকটতম সদস্যরাও এর আওতায় পড়েন। এমনকি ভিসা দেওয়া থাকলেও সেটি বাতিল করে দেওয়া হয়।