advertisement
advertisement
advertisement.

১৫ শতাংশ বিলম্ব ফি দিয়ে ছাড় পাচ্ছে বাংলালিংক

শাহিদ বাপ্পি
২৭ মে ২০২৩ ১২:০০ এএম | আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ০৮:৫৩ এএম
advertisement..

গত বছর মার্চে নিলামে ২ হাজার ৩০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ক্রয় করেছিল বাংলালিংক। কেনার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারকে কোনো অর্থ পরিশোধ করেনি অপারেটরটি। শেষ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ বিলম্ব ফি দিয়ে কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে বাংলালিংককে। এজন্য অপারেটরটিকে চিঠি দিয়েছে সরকার।

জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ে তরঙ্গ মূল্যের কিস্তি জমা না দিয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে বিলম্বে অর্থ পরিশোধের বিশেষ অনুমতি নেয় বাংলালিংক। শুধু গত বছরের নিলামের কিস্তির টাকা নয়, ২০২১ সালের নিলামে কেনা তরঙ্গের কিস্তিও বকেয়া রয়েছে বাংলালিংকের।

advertisement

বিটিআরসি সূত্র জানায়, আগামী জুনের মধ্যে বাংলালিংকের তিন কিস্তির ৪৭৪ কোটি টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কিস্তি পরিশোধের জন্য বাড়তি সময় নেয় বাংলালিংক। অন্য দুই অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি সময়মতো কিস্তির অর্থ জমা দিয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি অপারেটরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া রেগুলেটরি সংস্থার জন্য যৌক্তিক নয়।

গত বছর ৩১ মার্চ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তরঙ্গের নিলাম হয়, যেখানে ফোরজির পাশাপাশি ফাইভজি নেটওয়ার্ক চালুর জন্য তরঙ্গ বিক্রি হয়। এতে ১০ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকায় ১৯০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনে চার মোবাইল অপারেটর। অবিক্রীত থাকে আরও ৩০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ।

নিলামের প্রথম পর্বে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টজের প্রথম তিনটি ব্লকের ৩০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ১৯৫ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় টেলিটক। এরপর রবি ৩৯০ মিলিয়ন ডলারে ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজের প্রথম ছয়টি ব্লকের ৬০ মেগাহার্টজ কিনে নেয়। বাকি ছয়টি ব্লকে ৬০ মেগাহার্টজ কিনে নেয় গ্রামীণফোন। পরে বাংলালিংক ২৬০ মিলিয়ন ডলারে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টজের চারটি ব্লকে ৪০ মেগাহার্টজ কিনে নেয়। এর আগে ২০২১ সালে এক নিলামে ৯ দশমিক ৪ গিগাহার্জ (১৮০০ মেগাহার্টজ এবং ২১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের) তরঙ্গ কেনে অপারটেরটি।

বিটিআরসির বিধিমালা অনুসারে, কেনা তরঙ্গের মোট ক্রয়মূল্যের ১০ শতাংশ নিলামের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করবে। বাকি ৯০ শতাংশ ৯ বছরে সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এ হিসেবে ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রথম কিস্তির ১৬৭ কোটি টাকা বিআরটিকে দেওয়ার কথা ছিল। এই নিলামের দ্বিতীয় কিস্তির ১৪৩ কোটি টাকা গত ৮ এপ্রিল দেওয়ার কথা ছিল। একই সঙ্গে ২০২১ সালের নিলামের তৃতীয় কিস্তির ১৬৭ কোটি টাকাও সময়মতো জমা দেয়নি বাংলালিংক।

এই অর্থ বিলম্বে জমা দেওয়া জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করে বাংলালিংক। গত ৫ এপ্রিল বিটিআরসির অর্থবিভাগ থেকে এক চিঠিতে ১৫ শতাংশ বিলম্ব ফি দিয়ে কিস্তি পরিশোধের জন্য বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিটিআরসি নিময়নীতি মেনে যে কোনো ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে।

বাংলালিংক বলছে, তারা নিয়ম মেনেই কিস্তি শোধ করছে।