গত বছরের তুলনায় এই বছর আরও বেশি কর্মী বিদেশে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তবে বিদেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স না বাড়ায় হতাশার কথা জানান তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশ রেমিট্যান্স প্রবাহের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে কথা বলেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ও বাংলাদেশে সৌদি আরবের
রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আলদুহাইলান উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভ কমে আসছে, রিজার্ভে যে প্রবাসীদের অবদান আছে সেটি কিন্তু আমাদের স্বীকার করতে হবে। বর্তমান সরকার তা করেছে বলে আমি মনে করি। রেমিট্যান্সের টাকা দেশে পরিবারের হাতে সহজে পৌঁছানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশি ব্যাংকের ক্ষেত্রে চার্জ মওকুফ করে ফ্রি করে দেওয়া যায় কিন্তু বিদেশের ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ তো আমাদের হাতে নেই। এখানে কিন্তু একটা মেকানিজম বের করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর আমাদের সেই আস্থা রয়েছে।’
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের লাইসেন্স দিয়েছে। অন্যদেরও এই সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, তাহলে রেমিট্যান্স আহরণের প্রতিযোগিতা থাকবে।
বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদ এ খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম, রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি রিসার্চ ইউনিট রামরুর চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের চিফ ইকোনমিস্ট ড. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের নন গভর্নমেন্ট অ্যাডভাইজর মোহাম্মদ শাহজাহান সিদ্দিকী ও বায়রা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার।